পাটুরিয়া ঘাট থেকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সোমবার দৌলতদিয়ায় যাওয়ার পথে মাঝপদ্মায় লঞ্চডুবির ঘটনার তিন দিন পর আরও সাতটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা ফায়ার ব্রিগেডের স্টেশন কর্মকর্তা জিহাদ হোসেন জানান, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলা এলাকা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় মোট ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হলো। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা ৭১ জনের লাশ উদ্ধার করেন।
পাটুরিয়ার ঘাট থেকে দুটি বাসের দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার পর রোববার দুপুর ১২টার দিকে মাঝনদীতে কার্গো জাহাজ ‘এমভি নারগিসের’ ধাক্কায় ডুবে যায় এমভি মোস্তফা-৩ নামের লঞ্চটি।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে লঞ্চটি টেনে তোলার পর উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন। পরে ওইদিন দুপুরেও একটি লাশ পাওয়া যায়।
ফায়ার ব্রিগেডের কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার অভিযানে শেষ হওয়ার পরও লাশের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের টহল চলছিল।
“টহলের মধ্যে বুধবার সকালে শিবালয়ে পদ্মা নদীর মালুচি এলাকা থেকে দুটি শিশু ও তিন পুরুষের লাশ এবং পাশের হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা এলাকা থেকে এক শিশু ও এক নারীর লাশ পাওয়া যায়।”
স্বজনদের শনাক্তের জন্য উদ্ধার লাশগুলো পাটুরিয়ায় বিআইডব্লিউটিএর যাত্রী ছাউনিতে রাখা হয়েছে বলে জানান ফায়ার ব্রিগেডের কর্মকর্তা।