বিশ্বকাপে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন গিয়েছিলেন ক্যাসিনোতে। এ ঘটানায় দেশে ও বিদেশ প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। বিশিষ্ট সাংবাদিক ‘সাপ্তাহিক’র সম্পাদক এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মোর্তোজা আজ তার ফেসবুক পেজে ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। নিউজ৪১ পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘খালেদ মাহমুদ সুজন একটু ভুল বলে ফেলেছেন। তার বলা উচিত ছিল, খাবারের দোকান ক্যাসিনোর ভেতরে। সেখান থেকে খাবার কিনতে হলে ক্যাসিনোকে ঢুকতে হয়, ডলার হাতে জুয়ার টেবিলের সামনে দাঁড়াতে হয়, জুয়া খেলতে হয়, তারপর খাবার কেনা যায়।
তাহলেই সমস্যা মিটে যেত। বোর্ডে অবস্থানরত তার প্রভুরা পাশে দাঁড়িয়ে যেত। প্রভুদেরও বিপদে ফেলে দিয়েছেন সুজন।
জুয়া বা অন্য কোনো অভিযোগ না থাকলেও দলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আল আমীনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়, আইন প্রতিষ্ঠার অজুহাতে। না বলে রাতে বাইরে যাওয়া ছিল আল আমীনের অপরাধ। আমরা মেনে নিয়েছি আল আমীনের শাস্তি।
পাকিস্তানের মতো হযবরল দেশও মঈন খানকে ফেরত পাঠায়, ক্যাসিনোতে যাওয়ার অপরাধে। আর আমাদের ম্যানেজার ক্যাসিনোতে রাত কাটিয়ে খেলা চলাকালীন সানগ্লাস চোখে দিয়ে ঘুমায়। কোচের সঙ্গে জটিলতা তৈরি করে। ক্রিকেটররা ত্যক্ত-বিরক্ত, কিছু বলতে পারেন না ভয়ে।
যে দেশের ক্রিকেট বোর্ড গাজী আশরাফ হোসেন লিপুদের মতো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ক্রিকেটারদের তাড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে, সুজনের মতো জুয়াড়িদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়, সেই বোর্ডের থেকে আশা করারই বা কী থাকে! তারা সুজনকে দেশে ফিরিয়ে আনবে, অভিযোগের তদন্ত করবে, ব্যবস্থা নেবে- এই আশাই বা করি কেন?’