ঢাকার দুই (উত্তর-দক্ষিন) সিটি নির্বাচনের ৫০ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রস্তুতের জন্য মাঠ পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।এছাড়া ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাইসহ সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতেও জেলা নির্বাচন অফিসকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের এসব কাজ শেষ হওয়ার ওপরই নির্ভর করছে বহুকাঙ্খিত ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা।
প্রথমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে আইনি জটিলতা, পরে সীমানা জটিলতা নানা কারণে গত আট বছর ধরে ঝুলে আছে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এসব কিছু সমাধান হয়ে এখন আর কোন বাঁধা নেই এ নির্বাচনের। এখন মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতির পালা।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে থাকা থানা নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানালেন, আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসার আগেই ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ ও ভোটার তালিকার বিভিন্ন তথ্যের যাচাই-বাছাইসহ বিভিন্ন কাজ শুরু করে দিয়েছেন তারা।
বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ডের পুণনির্ধারিত এলাকার এসব কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে বলে জানালেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
লালবাগ থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, ‘৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ডের সীমানা পুনর্বিন্যাসের নির্দেশনা কপি আমরা পেয়েছি। সে অনুযায়ী ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাসের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
উত্তরা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘নির্বাচন হোক বা না হোক, মাঠ পর্যায়ে যে সকল কার্যক্রম সেটা আমরা সবসময় করে থাকি এখনো করছি। এছাড়া ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করা হয়েছে, কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে সেটা সংশোধন করা হবে।’
এদিকে বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মাঠের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে ঢাকা জেলা নির্বাচন অফিসকে। এর মধ্যে ৫০ হাজার কর্মকর্তার প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে জেলা নির্বাচন অফিসকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো নির্বাচনের সময়-সূচি
ঘোষণার আগে ভোট কেন্দ্রগুলো দেখে রাখা এবং ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত করা।’
আগামী মার্চের ১০ তারিখের মধ্যে মাঠের এসব কাজ এগিয়ে রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন। এর পরই আসবে বহুকাঙ্খিত ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল।