বাংলাদেশের বিমান বাহিনীতে ২০১৪’র ১৭ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিমান নিয়ে আকাশে উড়লেন দুজন নারী বিমান-সেনা। সৃষ্টি করলেন দেশে নতুন এক ইতিহাস।
বাংলাদেশের প্রথম নারী সামরিক পাইলট হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন তারা।
নারীর অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করা এ দুজন হলেন- ফ্লাইং অফিসার তামান্না-ই-লুৎফী ও ফ্লাইট লে. নাইমা হক। গত ১৭ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সোয়া একটায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যশোর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে সর্বশেষ টেস্টে সফলতা দেখিয়ে দেশের প্রথম নারী সামরিক পাইলটের স্বীকৃতি পান তারা। পরে তারা দুজনেই একক ফ্লাইংয়েও সফল হন।
বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে এটি একটি মাইল ফলক। দেশে বেশ কয়েকজন বেসামরিক নারী পাইলট থাকলেও সামরিক ক্ষেত্রে এর আগে কোন নারী এই স্বীকৃতি আর্জন করতে পারেননি।
সামরিক পাইলটেরস্বীকৃতি আর্জনের পর ফ্লাইং অফিসার তামান্না এ লুতফী বলেন, যুদ্ধবিমান চালানো শেখার অনুপ্রেরণা তিনি পান তার বাবার কাছে, যিনি নিজেও বিমান বাহিনির একজন অফিসার ছিলেন। সাহসী কাজে সবসময় সমর্থন জুগিয়েছেন তার বাবা-মা। ছোটবেলা থেকেই বৈমানিক হওয়ার ইচ্ছা ছিল - কিন্তু প্রথম দিকে নারীদের জন্য সেই সুযোগ ছিল না। সৈনিক পাইলট হবার ভাবনা কিভাবে তার মনে এসেছিল? ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক জবাবে জানালেন, বিমান বাহিনির নতুন ও চ্যালেঞ্জপূর্ণ এই উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে বিমান বাহিনীতেই যুদ্ধসংক্রান্ত নয় এমন কাজ করতেন। তবে বিমানবাহিনীতে প্রথম বারের মতো সামরিক পাইলট নিয়োগের পথ উন্মুক্ত হবার পর তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই সুযোগ নেবার।
তারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন, “এই আর্জনে আমরা খুবই আনন্দিত। দেশের প্রথম সামরিক নারী বৈমানিক হতে পেরে অনেক ভাল লাগছে। ঝুকিপূর্ণ হলেও দেশে জন্য আনন্দচিত্তে আমরা এই কাজ করব। দেশের যেকোন দুর্যোগে আমরা এগিয়ে যাব।
আমাদের এই অর্জন শুধু সামরিক বাহিনীর নয়, পুরো দেশের, নারী সমাজের। আমরা আশা করবো আমাদের এই অর্জনে অন্য নারীরাও অনুপ্রানিত হবে।”