প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া আন্দোলনে সরকার ‘উৎখাতের হুমকি’ দিলেও আসলে তার পায়ের নিচ থেকেই মাটি সরে যাচ্ছে।”
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বলেন, “আমি দেখলাম বিএনপি নেত্রী জনসভা করে আমাদের উৎখাত করার হুমকি দিচ্ছে। আমাদের উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে। তার নিজের পায়ের তলা থেকে যে মাটি সরে যাচ্ছে- তা দেখছেন না।”
আগের দিন নীলফামারীতে এক জনসভায় খালেদা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, নির্দলীয় সরকারের দাবি না মানলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করতে হবে’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের মানুষ ভাল থাকলে, উনার (খালেদা জিয়া) ভাল লাগে না। আমরা তাদের আন্দোলনের ভয়াবহতার রূপ দেখেছি। বাংলাদেশের জনগণের কেউ ক্ষতি করতে চাইলে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। আমরা জনগণের কল্যাণে আছি।”
আন্দোলনের নামে যারা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটাবে, তাদের চিহ্নিত করে রাখতে দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
“কেউ যেন ভবিষ্যতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে।… আমরা তা হতে দেব না। সহজে ছেড়ে দেব না।”
বর্তমান সরকারের সময় দেশের মানুষ আর্থ-সামাজিকভাবে স্বস্তিতে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কেউ ‘নস্যাৎ করতে’ পারবে না।
“বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় এক হাজার ১৯০ মার্কিন ডলার হয়েছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।”
বৃহস্পতিবার নীলফামারীর জনসভায় খালেদা জিয়া দাবি করেন, দেশের জনগণ ‘মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত হচ্ছে’ এবং নিম্নবিত্ত ‘শেষ হয়ে’ যাচ্ছে।
খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য নাকচ করে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের পাঁচ কোটি মানুষ মধ্যবিত্ত হয়েছে এবং মধ্যবিত্ত পরিণত হয়েছে ধনীক শ্রেণিতে।”
সিপিএ এবং আইপিইউ’তে বাংলাদেশের প্রার্থীদের বিজয়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা ইতিহাস। এর আগে কোনো দেশ একসাথে এ দুই প্রতিষ্ঠানে জয়ী হয় নাই।”
বিএনপির প্রতি ইংগিত করে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদেরই এটা ভালো লাগে নাই- যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছে।”
খালেদা জিয়া ‘দুর্নীতি করেছেন বলেই’ দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে যান না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
“উনি জনসভা করেন। কিন্তু আদালতে হাজির হতে পারেন না। কারণ, তিনি ধরা পড়ে যাবেন। যেহেতু দুর্নীতি করেছেন, চুরি করেছেন, সেহেতু কোর্টে হাজিরা দিতে ভয় পান।”
জিয়া পরিবারের প্রতি ইংগিত করে তিনি প্রশ্ন করেন, “যাদের ছেড়া গেঞ্জি আর ভাঙা সুটকেস ছিল, তাদের এতো কিছু আসলো কোথা থেকে?”
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই জানান, আওয়ামী লীগে লতিফ সিদ্দিকীর প্রাথমিক সদস্য পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এ বৈঠকে।