আইসিসি জানিয়েছিল এবার বিশ্বকাপ দেখবে আড়াই বিলিয়ন মানুষ! সত্য কী মিথ্যা সেটা বলতে পারবে তারাই। একই সাথে আইসিসির নির্বাহী জানিয়েছিলেন খেলা সম্প্রচারে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হবে অত্যাধুনিক ‘ফোর কে’ প্রযুক্তি। টিভির সামনে থাকলেও দর্শকেরা মনে করবেন মাঠেই দেখছেন খেলা! আরো থাকার কথা হাই ডেফিনেশনের (এইচডি) ব্যবহারের কথা। প্রাইডার, ড্রোন, আল্ট্রামোশন ক্যামেরাসহ আরো অনেক প্রযুক্তি। মাঠে থাকবে নাকি ২৯টি ক্যামেরার ব্যবহার। পুরনো এসব কথা টেনে আনার কারণ আম্পায়ার নির্লজ্জ পক্ষপাতী সিদ্ধান্ত দিলেও টিভি আম্পায়ার যেন সেটার নিখুঁত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন রিভিউতে ওই সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
কিন্তু ১৯ মার্চে এমসিজির গুরুত্বপূর্ণ কোয়ার্টারে অন্তত দু’টি সিদ্ধান্ত দেখে মনে হলো এ বিশ্বকাপ সেই নব্বই দশকেরও পেছনের ক্যামেরা ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন আম্পায়ারেরা। রুবেলের বলে কেমন নো বল হয়েছিল সেটা তারা নিখুঁতভাবে দেখার প্রয়োজন মনে করেনি। মাহমুদউল্লাহর ক্যাচটি ধরতে গিয়ে শেখর ধাওয়ান যে তার পা বাউন্ডারি স্পর্শ করে সেটাকে ছক্কায় পরিণত করেছিলেন, সেটা যেন দেখতেই পারছিলেন না আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। অথচ সাধারণ দৃষ্টিতে এবং বাউন্ডারির কাছ থেকেও মনে হয়েছে ধাওয়ানের পা বাউন্ডারি স্পর্শ করেছিল। এ ছাড়া সুরেশ রায়নার নিশ্চিত লেগ বিফোর এড়িয়ে যাওয়া। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যদি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত না দেয়া যায় তাহলে ওইগুলোর ব্যবহারের অর্থ কি শুধু অর্থের অপচয় না গল্প সেটাই অনুমান করা যায়নি।
আসলে আইসিসির একচোখা নীতির বলি হয়ে লড়াইয়ের আগেই হেরে বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশকে। নিশ্চিত সিদ্ধান্ত থেকে বঞ্চিত করা হলে মনোবল অটুট রাখার কষ্ট। কারণ ১১ জন লড়বে ১১ জনের বিরুদ্ধে। কিন্তু কাল মনে হলো বাংলাদেশের ১১ লড়েছিলেন ১৪ জনের বিপক্ষে। বাংলাদেশ কোয়ার্টারে উঠে তাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। কোয়ার্টারে জিতে সেমিফাইনালেও যাবে তেমন দৃঢ়তা দেখায়নি। কিন্তু ভয়ে তটস্থ আইসিসি অধিক ব্যবসা হাতছাড়া ও ভারতকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই আশ্রয় নিয়েছিল অবৈধ পন্থার।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সারাদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বয়ে যায় টাইগার সমর্থকদের সমালচনার ঝড়।শেষে সবার একটাই কথা- “ভারত জিতল, তবে সে জয় লজ্জার। আর বাংলাদেশ হেরেও আজ গর্বিত।”