বহু প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহের জন্য অান্তর্জাতিক দরপত্র অাহ্বান করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিঅারসি)। ফলে বহুল প্রতীক্ষিত উপগ্রহটি পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাতে সরকারকে অপেক্ষা করতে হবে ২০১৭ সাল পর্যন্ত।জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ এই উপগ্রহের জন্য দরপত্র অাহ্বান করার কথা ছিল বিটিঅারসির। কিন্তু সেই দরপত্র প্রকাশিত হয় বৃহস্পতিবার। এতে উল্লেখ করা হয়, এ দরপত্রের ক্ষেত্রে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানই কেবলমাত্র অাবেদন করতে পারবে।
বিজ্ঞাপনে অারও বলা হয়, অাগামী ২৪ মে পর্যন্ত এই দরপত্রের অানুষঙ্গিক কাগজপত্র ৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাবে। অাগামী ২৭ এপ্রিল এ বিষয়ে নিলামপূর্ব একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং অাগামী ২ জুনের মধ্যে এই দরপত্রের অাবেদনের সময় শেষ হবে।
বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের পর এ নিয়ে বৃহস্পতিবার টেলিকম ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদে জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই উপগ্রহের জন্য কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করা যাবে বলে অাশা করছে সরকার।
পাশাপাশি এই প্রকল্পের অানুষ্ঠানিক সময়সীমা ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ এর জুন পর্যন্ত বলেও জানানো হয়। ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন এই উপগ্রহটি উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা নিয়েছে বিটিঅারসি।
গত সপ্তাহে এ বিষয়ে বিটিঅারসি’র কমিশনার (স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা) এটিএম মনিরুল অালম জানান, ২০১৭ সালে সময় মতোই এই কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের ব্যাপারে তারা অাশাবাদী।
দরপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন অনুযায়ী, উপগ্রহটি উৎক্ষেপনের জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রয়োজনীয় জায়গা, বিদ্যুৎ, পানি ও ইন্টারনেট সুবিধা সরকার দেবে বলেও জানিয়েছে। যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তারা ছাড়া বিশ্বের যেকোনও দেশের প্রতিষ্ঠানই এই দরপত্রের জন্য অাবেদন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু-১ নামে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটি একনেক।