চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন পত্র নিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম মনজুর আলম।শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেনের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আল নোমান।
এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলমের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন মনজুর। এসময় প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ হোসেনের নিকট ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন তিনি।
পদত্যাগের পর মনজুর আলম বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আজ থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন প্যানেল মেয়র-১।’
এসময় দায়িত্ব পালনকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে শাহ আমানত (র.) মাজার জিয়ারত করেন মনজুর আলম।
২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী-‘মেয়র পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণে অযোগ্য হবেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক হলে তাকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে।’
২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন এম মনজুর আলম।
গত বুধবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে আবারও প্রার্থী ঘোষণা করা হয় এম মনজুর আলমকে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিএনপির পক্ষ থেকেও তাকে সমর্থন দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৮ মার্চ ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আসছে ২৮ এপ্রিল তিন সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ করা হবে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৯ এপ্রিল। প্রার্থীরা ১ ও ২ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। এরপর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।