মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করায় ব্লগার ওয়াসিকুর রহমানকে (২৭) হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে ঘটনাস্থল থেকে আটক হওয়া জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ডিউটি অফিসার এসআই শাহিদা।
তিনি জানান, ঘটনার পর আটক হওয়া জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, মাঝে মাঝেই ওয়াসিকুর রহমান তার ব্লগে ধর্ম নিয়ে নানা ধরনের লেখা লিখতেন। সর্বশেষ তিনি এমন একটি লেখা পোস্ট করেছেন যেখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি তাদের নজরে এলে ওয়াসিকুরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় জিকরুল্লাহ ও আরিফুল। পরে আজ (সোমবার) সকাল পৌনে ১০টার টার দিকে তারা রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বেগুনবাড়ি ঢালে ওয়াসিকুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওয়াসিকুরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হলে সাড়ে ১০ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি চাপাতি।
আটককৃত জিকরুল্লাহ চট্টগ্রামের হাটহাজারি ও আরিফ মিরপুরের দারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে নিহতের চাচাতো বোন শিল্পী আক্তার জানান, টিপু সুলতান ও রেহানা বেগমের সন্তান ওয়াসিকুর রহমান। তাদের বাড়ি লক্ষীপুরের রামগঞ্জ থানার উত্তর হাজীপুর গ্রামে। ওয়াসিকুর রহমান তার পরিবারের সাথে তেজগাঁও বিগুনবাড়ী ঢালে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি মাস্টার্স শেষ করার পর মতিঝিলের ফারইস্ট এভিয়েশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বেগুনবাড়ি এলাকাতে টিপু সুলতানের মোটরপার্টসের দোকান রয়েছে বলেও জানান নিহতের বোন।
উল্লেখ্য, মাত্র এক মাস আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলার বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হামলাকারীদের চাপাতির আঘাতে আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা, যিনি নিজেও একজন ব্লগার।