পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে (ট্রায়াল রুম) গোপন ক্যামেরার শিকার হয়েছেন ভারতের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেত্রী স্মৃতি ইরানি। ভারতের গোয়া রাজ্যের একটি বিখ্যাত পোশাক বিক্রয়কেন্দ্রে জনপ্রিয় নাট্য অভিনেত্রী এমন পরিস্থিতির শিকার হন বলে জানিয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইরানি তাঁর স্বামী জুবিন ইরানির সাথে গোয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে গোয়ার ফ্যাবিন্ডিয়া স্টোর নামে একটি বিখ্যাত পোশাকের দোকানে যান তিনি। সেখানকার পোশাক পরিবর্তন কক্ষে তিনি গোপন ক্যামেরাটি দেখতে পান। ক্যামেরাটি এমনভাবে বসানো ছিল, যাতে এতে পরিবর্তনকক্ষের ভেতরের সবকিছু দেখা যায়।
ইরানি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি তাঁর স্বামীকে জানান এবং গোয়ার বিধানসভার সদস্য ও বিজেপির নেতা মাইকেল লোবোকে ওই দোকানটিতে ডাকেন। লোবো পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং এরপর স্থানীয় থানায় একটি মামলা করা হয়।
বিধায়ক লোবো এনডিটিভিকে বলেন, ‘স্মৃতি ইরানি পোশাক পছন্দ করে তা ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা দেখার জন্য পরিবর্তনকক্ষে যান। সে সময় তিনি গোপন ক্যামেরাটি দেখতে পান। ক্যামেরায় পরিবর্তনকক্ষের ভেতরের দৃশ্যটি ধারণ করা হচ্ছিল। ট্রায়াল রুমের কোণায় এটি এমনভাবে লাগানো ছিল, যা সহজে কেউ বুঝতে পারবে না।’
স্থানীয় ক্যানডোলিম থানা পুলিশ এনডিটিভিকে জানায়, ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ ফ্যাবিন্ডিয়ার পরিচালকের অফিসে কম্পিউটারে রেকর্ড করা হচ্ছিল। তবে ঘটনার সময় দোকানটিতে ছিলেন না পরিচালক। প্রায় চার মাস আগে ক্যামেরাটি বসানো হয় বলে জানা গেছে। এ ক্যামেরায় ধারণ করা ক্রেতাদের ট্রায়ালের অসংখ্য ভিডিও পরিচালকের কক্ষের হার্ডডিস্কে আছে।
ক্যানডোলিম থানা পুলিশ এরই মধ্যে দোকানটির বিরুদ্ধে নারীর শালীনতাহানি ও গোপন ক্যামেরা বসানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। থানায় স্মৃতি ইরানির একটি মৌখিক অভিযোগও রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোকানের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ভারতে পোশাক পরিবর্তনকক্ষে ক্যামেরার খোঁজ পাওয়া এই প্রথম নয়। এর আগেও ভারতে এমন অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো প্রশ্ন তুলেছে, এ ঘটনার শিকার স্মৃতি ইরানি না হয়ে যদি অন্য কেউ হতেন, তাহলে কী হতো তা সহজে অনুমেয়। এবার ভারতের একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নারীনেত্রী এ ঘটনার শিকার হওয়ার পর এ বিষয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো ভারতের প্রশাসন কী করে তা-ই দেখার বিষয়।