রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর থেকে কার্যালয়ের আশপাশে কোনো পুলিশ সদস্যকে বা কোনো পুলিশ ভ্যানও দেখা যায়নি। তবে কার্যালয়ের মূলফটক ছিল অন্যান্য দিনের মতো তালাবদ্ধ।
এদিকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া পুলিশ পাহারা সরিয়ে নেওয়া হলেও কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা কিংবা দলীয় নেতাকে সেখানে যেতে দেখা যায়নি।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এখানে পুলিশি টহল কেন রাখা হয়নি, তা বলার এখতিয়ার আমার নেই। ডিএমপির মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরাই ভালো বলতে পারবেন।’
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েনও করা হয়নি, প্রত্যাহারের বিষয়ও নেই। যে কোনো জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকলে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়, আর কোনো প্রয়োজনীয়তা না থাকলে পুলিশ থাকে না।”
এদিকে সরেজমিনে বিএনপির নয়াপল্টনে কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে পুরনো পত্রিকাসহ আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। টানা তিনমাস সেখানে কোনো মানুষ না যাওয়ায় অপরিছন্ন অবস্থায় রয়েছে কার্যালয়ের মূল ফটক।
বিএনপিরসহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীনের সঙ্গে রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা এখনো কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি। দলের নীতি নির্ধারকদের জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের দেখা না গেলেও এখনো কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।
উল্লেখ, গত ৩ জানুয়ারি রাতে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দলটির কার্যালয় থেকে নিয়ে গিয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই সময়ই মূল ফটকে তালা দিয়ে বিএনপি কার্যালয় সিলগালা করে দেওয়া হয়। সার্বক্ষণিক পুলিশি টহল জোরদারের পাশাপাশি বাড়ানো হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিও।