বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত চেষ্টায় বর্তমানে রোবোটিক্স সায়েন্স বিজ্ঞানের একটি আলাদা শাখা হিসাবে বিকাশ লাভ করেছে। উন্নত দেশ এগিয়েছেও অনেক। রোবট এখন মানুষের দৈনন্দিন কাজও করছে। চিকিৎসা অস্ত্রোপচারে, মাইন অপসারনে, যুদ্ধে, মহাকাশ গবেষণায়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এমনি গৃহস্থালি প্রয়োজনে,বাদ্যযন্ত্র, ফ্যাশন ক্যাটওয়াকেও বুদ্ধিমান রোবট ব্যবহার হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে চলা বাংলাদেশকেও এই রোবোটিক্স সায়েন্সে এগিয়ে নিতে চায় সরকার। এজন্য দেশে রোবোটিক্স ইন্সটিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) সঙ্গে নিয়ে বুয়েটে এই রোবোটিক্স ইন্সিটিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা ইকরামের নেতৃত্বে বুয়েট শিক্ষকদের এক বৈঠকে এই ইন্সটিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেভেলপমেন্ট অব কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের পরিচালক এ.এন. এম সফিকুল ইসলাম।
বৈঠকে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উন্নত বিশ্ব যেখানে বুদ্ধিমান রোবট তৈরি করে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে তা ব্যবহার করছে আমরা সেখানে পিছিয়ে থাকবো না। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রযুক্তি সব শাখাতেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
পলক বলেন, আমরা চলতি বছরেই কাজ শুরু করে দিতে চাই। এইজন্য বুয়েটকে সবধরণের সহায়তা করবে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
বৈঠকে উপস্থিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.আবু নাছের জানান, প্রাথমিক পরিকল্পনায় রোবোটিক্স ল্যাব তৈরির কথা থাকলেও প্রতিমন্ত্রী ইন্সটিটিউট করার কথা বলেন।
তিনি জানান, প্রতিমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব এই রোবোটিক্স ইন্সটিটিউট স্থাপনে কাজ শুরু করতে বলেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি সব শাখায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা চান তিনি।
শুরুতেই এই ইন্সটিটিউট তৈরিতে ১০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। আইসিটি বিভাগ এজন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে ধাপে ধাপে এই অর্থের সংস্থান করবে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
এ.এন. এম সফিকুল ইসলাম টেকশহরডটকমকে জানান, হাইটেক পার্ক কতৃপক্ষ এ রোবোটিক্স প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করছে। সূত্র: টেকশহর