বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের ‘অপহরণ’ ও সন্ধান পাওয়ার ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত ও বিএনপির সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জয় এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে জয় বলেন, “বিএনপির সালাহ উদ্দিনকে অবশেষে ভারতে পালিয়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। অন্তর্ধানের পুরো দুইমাসের কোন স্মৃতিই মনে করতে পারছেন না তিনি। সালাহউদ্দিন সাহেবের স্ত্রী যিনি গণমাধ্যমে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে, সাদা পোশাকধারী পুলিশ তার স্বামীকে অপহরণ করেছে, তিনিই আজ খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার পর বলেছেন, সালাহ উদ্দিনের সাথে তার কথা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, পুরো ঘটনাটিই আওয়ামী লীগ সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত একটি সাজানো নাটক।”
জয় তার স্টাটাসে আরও লিখেছেন, “এছাড়াও আপনি কিছু মানবাধিকার সংস্থাকে দেখে থাকবেন যেমন অধিকার এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, যারা কোনো প্রমাণ এবং তদন্ত ছাড়াই বলে আসছিলো যে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এই পুরো ঘটনা আসলে তাদের ব্যার্থতাকেই প্রমাণ করে দেয়, কারণ সালাহ উদ্দিনের অন্তর্ধান নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমে খুব দৃঢ়তার সাথে রিপোর্ট করে আসছিলো।”
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “আমি ভেবে অবাক হচ্ছি, তাদের কথিত “গুম” করার এরকম কতো সাজানো নাটকই না আছে! সরকার কারো উধাও হয়ে যাওয়া এবং লুকিয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। বিএনপি মিথ্যে বলে, সবাই তা জানে। অধিকার এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচও তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারালো।”
উল্লেখ্য, বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধের মধ্যে গোপন স্থানে থেকে বিবৃতি দিয়ে আসা সালাহ উদ্দিনকে গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে তার পরিবার দাবি করে। গত দুই মাস ধরে আলোচনায় থাকা সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা স্বামীর টেলিফোন পাওয়ার কথা জানালে সারাদেশে তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন। ২০০১ সালে জোট সরকারে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। তার স্ত্রী হাসিনা ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য ছিলেন।