বিশ্বদরবারে আরো একবার সম্মানিত হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মান ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় তার সুদূরপ্রসারি কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। তিনি পলিসি লিডারশীপ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
প্রতিবেশগতভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকালিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সামগ্রিক পদক্ষেপের স্বীকৃতি হচ্ছে এই পুরস্কার।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
পুরস্কার সাইটেশনে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটিজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্লান ২০০৯’ এর উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম উন্নয়নশীল দেশ যেখানে এ ধরণের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। তারাই প্রথম দেশ হিসেবে নিজস্ব তহবিল দ্বারা ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছে। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত এ তহবিলে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সরকার বর্তমানে বার্ষিক বাজেটের ৬-৭% জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ করছে। এর ২৫% আসছে আন্তর্জাতিক সাহায্যদাতাদের কাছ থেকে।
এছাড়া, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১১ সালে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করা হয়। সেখানে বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে রাষ্ট্রকে সাংবিধানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকার দূষণমুক্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। জাহাজ-ভাঙা শিল্প যাতে উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ বিনষ্ট না করতে পারে সেজন্য নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক অচিম স্টেইনার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনকে দেশে জাতীয় অগ্রাধিকার ইস্যু এবং এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণে জোরালো ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নেতৃত্ব এবং দূরদৃষ্টি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন।
চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ বার্ষিক সম্মাননা। পরিবেশ বিষয়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়ে থাকে। পলিসি, বিজ্ঞান, ব্যবসা এবং সুশীল সমাজ এই ৪টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।