তারা দেশদ্রোহী: জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে যারা বিশ্বব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা দেশদ্রোহী। তিনি আরও বলেছেন, ওইসব ব্যক্তির উচিত তারা যাদের অসম্মান করেছিল তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। তাদের বাংলাদেশের কাছেই ক্ষমা চাওয়া উচিত।
যে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা ঋণ বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক, সেই দুর্নীতির মামলাকে ‘অনুমানভিত্তিক’ বলে কানাডার একটি আদালতের দেওয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে এ কথা বলেছেন জয়।

ওই প্রতিক্রিয়ায় জয় বলেন, ‘কানাডার কোর্ট পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় প্রকল্পটিতে কোনও দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি এবং সব অভিযোগ বাতিল করে দিয়েছে। বিচারক বলেছেন ‘গাল-গল্প ও গুজব’-এর ওপর ভিত্তি করে সাক্ষ্য তথ্য সাজানো হয়েছে। অন্য কথায় বলতে গেলে, প্রসিকিউশন মামলা সাজিয়েছিল।’

পদ্মা সেতু মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক পোস্ট।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘প্রমাণ ছিল বিশ্বব্যাংকের মনগড়া। আমি নিজে এই সাক্ষ্য তথ্যের পুরো উপাখ্যান প্রত্যক্ষ করেছি। এটা পুরোপুরি সাজানো ছিল। কারণ এতে সুনির্দিষ্ট কোনও বিবরণ ছিল না। শুধু একটি অজ্ঞাত সূত্রের কথা বলা হয়েছে, যার পরিচয় প্রকাশিত হয়নি, এমনকি কানাডার আদালতেও নয়। আসলে, বিশ্বব্যাংক আদালতে লড়েছিল এবং আরও তথ্য প্রমাণ না দিয়েই সার্বভৌম অনাক্রম্যতা দাবি করে আসছিল। তাই তারা অভিযোগ দায়ের করেছিল ঠিকই, কিন্তু তাদের দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিল!’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংক ষড়যন্ত্র করেছিল উল্লেখ করে জয় লিখেছেন, ‘তারা ষড়যন্ত্র করেছিল তার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সম্মানহানির উদ্দেশ্যে। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বিশ্বব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছিল পদ্মা সেতুর ফান্ড যেন বাতিল করার মাধ্যমে আমাদের সরকারকে শাস্তি দেওয়া হয়। সে তা করেছিল কারণ মুহাম্মদ ইউনূস বারবার তাকে বলছিল আমার মায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’

জয় নিজে বেশ কয়েকবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের তফর থেকে ইউনূসকে মোকাবিলা না করার হুমকি পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিক্রিয়ায়। তিনি আরও লিখেছেন, ‘তার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) কারণে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প বন্ধ করতে চেয়েছে যা কিনা কোটি কোটি লোকের উপকারে আসবে এবং আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের মানুষের জীবন বদলে দেবে। ইউনূস ইচ্ছাকৃতভাবে চেষ্টা করেছে বিদেশি শক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ক্ষতি করতে।’

দেশের সুশীল সমাজের তথাকথিত একটি অংশ মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মিলে বিশ্বব্যাংকের স্বার্থে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল উল্লেখ করে জয় লিখেছেন, ‘এরা কিছু অতি সম্মানিত, যোগ্য ও কঠোর পরিশ্রমী লোকেদের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে কাঁদা ছুড়েছে। সেই সম্মানিত লোকেদের অন্যতম আমার মায়ের উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। বাংলাদেশের বিপক্ষে গিয়ে যারা একটি পক্ষ নিয়েছে, এরা দেশদ্রোহী।’

জয় আরও লিখেছেন, ‘এদের সবার উচিৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার আওয়ামী লীগ সরকার এবং যেসব সম্মানিত লোকদের তারা আঘাত করেছে তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের কাছে এদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’


প্রধান সংবাদ বিভাগের আরো খবর...
সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে  হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ
ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম
গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান
এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ
জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি

তারা দেশদ্রোহী: জয়
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet