ডাক বিভাগের বিস্তৃত অবকাঠামোর সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনকে এগিয়ে নেওয়ার একটা তাগিদ অনুভূত হচ্ছিল অনেক বছর ধরে। ডিজিটাল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’, সেই আলোচনা এবং অভিজ্ঞতার ফসল। বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশসহ বিদ্যমান মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোর মতোই ‘নগদ’ হচ্ছে আরেকটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এই সেবা। শিগগিরই সাধারণ মানুষ এ সেবা পেতে যাচ্ছে।
ডিজিটাল ফিন্যানসিয়াল সেবা ‘নগদ’-কে দেশব্যাপী মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশজুড়ে ৯৮৮৬টি পোস্ট অফিসের অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জেলা পর্যায়ের পোস্ট অফিসগুলোকে এবং পরবর্তীতে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের শাখাগুলোকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডাক বিভাগ। প্রায় ৪০ হাজার কর্মী নিয়ে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডাক বিভাগ।
২০১০ সালে পোস্টাল ক্যাশ কার্ড এবং ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম চালু হয় ডাক বিভাগে। প্রতিটি পোস্ট অফিসে ডিজিটাল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ সেবাটি পাওয়া যাবে এবং এজন্য আলাদা করে ব্র্যান্ডিং ও প্রযুক্তি স্থাপনের কাজ চলছে। বর্তমানে নতুন এই কর্মচাঞ্চল্য নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল বলেন ‘আমাদের ৪০ হাজার কর্মীর বিশাল পরিবার ডিজিটাল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ নিয়ে সত্যিকার অর্থেই যথাযথ প্রস্তুতি নিচ্ছে অনেকটাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে।’
জেলা পর্যায় থেকে নামের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া প্রসঙ্গে নগদের হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মো. সোলায়মান বলেন, জেলা পর্যায়ের পোস্ট অফিসগুলো থেকে আমরা ইতিমধ্যেই আশাতীত সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে নতুন প্রযুক্তির ব্যাপারে এই আগ্রহ আমাদেরকে উদ্দীপ্ত করেছে অনেক বেশি। ডিজিটাল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসের খুঁটিনাটি ও এন্টি মানিলন্ডারিং নিয়ে কর্মশালায় অংশ নেওয়ার জন্যে ইতিমধ্যেই সারা দেশ থেকে দুই হাজার জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি এই মিলিত উদ্যোগ দেশের বিভিন্ন পোস্ট অফিসের কর্মচারীদের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পেছনে ডাক বিভাগের প্রত্যক্ষ অবদান হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।