নতুন উদ্যম নিয়ে কাজ শুরু করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি। পূর্বের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার রেশ কাটিয়ে এবং কোরবানি ঈদের পর বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাসাস মহানগরের (দক্ষিণ) সহ-সভাপতির পদ ছেড়ে এখন গানে মনোযোগী হয়েছেন এই ন্যান্সি।
বর্তমানে একাধিক ছবি ও অ্যালবামের গান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ন্যান্সি। এদিকে এরই মধ্যে এ তারকা তার গড়া গানের দলের সদস্যদের কথা-সুর-সংগীতে ‘দুষ্টু ছেলে’ নামক একটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এ অ্যালবামটি রোজার ঈদে মোবাইল ফোনে ডিজিটালি মুক্তি দেয়া হয়।
ইতিমধ্যে গানগুলো থেকে ভাল সাড়াও পেয়েছেন তিনি। অ্যালবামটি শ্রোতাদের জন্য শিগগিরই ফিজিক্যালি প্রকাশ করা হবে। অ্যালবাম থেকে দু-একটি মিউজিক ভিডিও তৈরিরও ইচ্ছা রয়েছে এই তারকার।
পূর্বের স্মৃতি রোমন্থন করে গুণী এই শিল্পী বলেন, আল্লাহর রহমতে এখন অনেক ভাল আছি।
এমনকি অসুস্থ অবস্থায় আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে রাখা হয়েছিল, চিকিৎসা দেয়া হযনি। তখন কিন্তু এ নিয়ে কেউ কথা বলেননি, খোঁজ নেননি, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখেননি। শুধু কিছু না জেনেই গুজব ছড়িয়েছেন, মিথ্যা সংবাদও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। এ ধরনের ভয়াবহ গুজব একটি মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে সেটা কেউ চিন্তা করেনি।
আমি তো মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে, এসবে একদমই অভ্যস্ত নই। আমার কাছে সেই সময়টাকে জীবনের অন্যতম বাজে সময় বলে মনে হয়।
এরপর জাসাস মহানগর দক্ষিণে আমার সহ-সভাপতির পদ নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। আর কথা শুনতে আমি রাজি নই। তাই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।
পদে না থেকেও সারাজীবন কিভাবে বিএনপিতে থাকা যায় সেটাই আমি প্রমাণ করতে চেয়েছি। এখন অনেক ভাল আছি। এভাবেই থাকতে চাই। ভাল কাজ করতে চাই। শান্তির একটা জীবন চাই। স্বামী, দুই সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাল থাকাটাই আমার কাছে মুখ্য।
বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে ন্যান্সি বলেন, চলচ্চিত্রের গানে নিয়মিত কণ্ঠ দিচ্ছি। সামনেও নতুন কিছু গানে কণ্ঠ দেয়ার কথা রয়েছে। গেল ঈদে প্রকাশিত প্রিন্স মাহমুদ ভাইয়ের ‘কেয়া পাতার নৌকো’ অ্যালবামে আমার একটি গান রয়েছে। সেটির ভাল প্রশংসা পাচ্ছি। চলচ্চিত্রের বাইরেও আরও কিছু অ্যালবামে গান করার ইচ্ছে আছে। আর নতুন অ্যালবাম থেকে দু-একটি গানের মিউজিক ভিডিও করবো। তবে তা আমার সামর্থ্যের মধ্যে।