আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম আমলে দশ হাজার স্কুলে ল্যাপটপ সহায়তা দিতে চেয়েছিলো নেদারল্যান্ডের ‘টিউলিপ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আলোচনা চলা অবস্থায়ই ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় আওয়ামী লীগের।
পরে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে স্রেফ কোম্পানিটির নাম ‘টিউলিপ’ বলে তাদের কাছ থেকে এ সহায়তা নেয়নি। বিএনপির ধারনা ছিলো কোম্পানিটির সাথে শেখ রেহানার মেয়ের কোনো সম্পর্ক আছে। কারন শেখ রেহানার মেয়ের নামও যে টিউলিপ!
মঙ্গলবার দুপুরে টিউলিপের এমন গল্পই উদ্যোক্তাদের শোনালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতার শুরুতে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ওই কোম্পানিটির শর্ত ছিলো যে, তাদের দেশ থেকে কম্পিউটার কিনতে হবে। তো আমরা ওই দেশের একটি কোম্পানি থেকে কম্পিউটারগুলো নিতে চেয়েছিলাম। সব কিছুই এগিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সরকারের মেয়াদ শেষ হয়। পরে বিএনপি সরকার ওই ল্যাপটপ না নেয়ায় শেষ পর্যন্ত ওই কোম্পানিটি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে। যার ফলে সরকারকে ৩২ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হয়। পাশাপাশি আমরা হারালাম ১০ হাজার কম্পিউটার পাওয়ার সুযোগও।
বর্তমান সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এখন শুধুমাত্র রাজধানী বা বড় শহরগুলোতে সীমাবদ্ধ নয়। আমরা প্রযুক্তিকে দেশের সর্বত্র পৌছে দিয়েছি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণ এখন এর সুফল ভোগ করছেন। তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে আমরা কাজ করছি। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছি।