বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহের ফোনালাপ নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে।
গত বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বুধবার রাত সাড়ে দশটায় অমিত শাহ ফোন করে দলটির গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এরপরই এর সত্যতা নিয়ে মাঠে নামে গণমাধ্যমগুলো।
শনিবার দেশটির কয়েকটি বেসরকারি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাত্কারে অমিত শাহ খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু তারপরও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল।
বিএনপি’র এই অনড় অবস্থানের পর ইত্তেফাকের পক্ষ থেকে গতকাল রবিবার অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। টেলিফোনে দেয়া সাক্ষাত্কারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অমিত শাহ বলেন, তার নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মিথ্যা বিবৃতি দেয়া ঠিক হয়নি। বিজেপি সভাপতি বলেন, তিনি খালেদা জিয়াকে কোন ফোন করেননি।
তিনি আরো বলেন, আমি কেন খালেদা জিয়াকে ফোন করতে যাবো? বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনো ইস্যু নিয়ে আলোচনার কোনো কারণ নেই। তিনি ইত্তেফাককে বলেন, তার সঙ্গে কথা বলার কি প্রয়োজন থাকতে পারে আমার?
অমিত শাহ বলেন, তার নাম ব্যবহার করে মিথ্যা বিবৃতি দেয়ায় তিনি খুবই ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। আমি ফোন করেছিলাম এ ধরনের বিবৃতি বিএনপি কেন দিল? এই ধরনের মিথ্যা কর্ম নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমি এখনো বুঝতে পারছি না বিএনপি কেন এ ধরনের কল্পনাপ্রসূত গল্প বানালো এবং এর সঙ্গে আমাকে কেন জড়ালো।
অমিত শাহ আরো বলেন, ভারত বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং সেটাই সঠিক চ্যানেল। দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে এমন অপ্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ আমি নিতে পারি না। কারণ ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ইতিবাচক এবং সুসম্পর্ক বিদ্যমান।
বিজেপি সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি’র এই নেতিবাচক প্রচারে দলটির উপর ক্ষুব্ধ বিজেপি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত। না হলে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক