বিএনপির জালিয়াতির বিবৃতিতে ভুয়া স্বাক্ষর বসানো বাংলাদেশি কমিউনিটিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। মেং বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের জানা উচিত, অমন বিবৃতি দেওয়াকে সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করে না যুক্তরাষ্ট্র। আর ওই চিঠিটি তারা লেখেনওনি।’
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের হাউজ ফরেন রিলেশন কমিটির সদস্য কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং। ওই কমিটির নামেই মেয়াদোত্তীর্ণ ওয়ান হান্ড্রেড থার্টিনথ কংগ্রের প্যাডে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গত ৭ জানুয়ারি ওই বিবৃতি তৈরি করেন বিএনপি’র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষ দূত জাহিদ এফ সাদি।
কংগ্রেসের হাউজ ফরেন রিলেশন্স কমিটি পক্ষ থেকে ওই বিবৃতিকে মিথ্যা বলে দাবি করে নতুন বিবৃতিও পাঠানো হয়।
কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বলেন, গত ৭ই জানুয়ারি তার নিজের স্বাক্ষরসহ কয়েকজন কংগ্রেম্যানদের নামে দেওয়া চিঠিটি ভুয়া ও বানোয়াট। এতে তাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর নব নির্বাচিত ১১৪তম কংগ্রেসে আগের বারের ‘হাউজ ফরেন রিলেশন্স কমিটি’র কয়েকজন বাদ পড়লেও নতুন ‘হাউজ ফরেন রিলেশন্স কমিটি’তে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশিদের কাছে অত্যন্ত সজ্জন হিসেবে পরিচিত কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং।
তিনি বলেন, ‘ভুয়া চিঠি’র কথা আমরা জেনেছি। চিঠিতে এমন কয়েকজন কংগ্রেস সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে, যারা অতীতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে আমার ভুয়া স্বাক্ষরও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা ফরেন রিলেশন্স কমিটি থেকে যুক্ত বিবৃতি দিয়ে বলেছি ঐ চিঠিটি ভুয়া এবং জালিয়াতি করে এটি তৈরি করা হয়েছে।’
তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সজাগ দৃষ্টি রাখছে বলে জানান এই এশীয়-আমেরিকান কংগ্রেসওম্যান।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধদের বৈধতা দেওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা’র নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে গ্রেস মেং বলেন, “কংগ্রেস নির্বাহী আদেশ সম্পর্কিত অর্থ বরাদ্দ বাতিলে সংশোধনী পাশ করলেও সিনেটে এ সংশোধনী পাশ হবে না। আর যদি হয়ও সেক্ষেত্রে আমি নিশ্চিত যে প্রেসিডেন্ট ওবামা তাতে ভেটো দেবেন।”
তিনি নির্বাহী আদেশের আওতায় যোগ্যদেরকে আগামী ২০ মে থেকে আবেদনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়ারও আহবান জানান।
গ্রেস মেং বলেন, এখন থেকেই প্রয়োজনীয় ডক্যুমেন্ট যোগাড় করা উচিত। অবৈধ হলেও আবেদনকারীদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের তারিখ, কিভাবে এসেছেন, পাসপোর্ট (যদি থাকে), বিমান টিকিট, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারির আগের ডক্যুমেন্টই প্রমাণ করবে আবেদনকারী ওই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর